থার্টি ফাস্ট নাইট এর ইতিহাস
#থার্টি_ফাস্ট_নাইট_এর_ইতিহাসঃ
------------------------♦---------------------
দেবতা জানুস (Janus) এর নাম শুনেছেন? যদি না শুনে থাকেন, তাহলে ইতিহাস সম্পর্কে জানুন!!!
দুই মাথা ওয়ালা জানুস ছিল রোমানদের নিকট ভাগ্য দেবতা। রোমানরা মনে করতো জানুস দেবতাই তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ করে। এই কারনে রোমানরা জানুসকে পূজা করতো। জানুয়ারি মাসের নামকরণও করা হয় জানুস দেবতার নামানুসারে। যেহেতু রোমানরা জানুসকে ভাগ্য দেবতা মানতো তাই ওরা ৩১শে ডিসেম্বর রাতে জানুসের পিছনের মাথার সামনে গিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং পূজা করতো। রোমানরা ওই রাত পেয়েছে তা সবই জানুসের পিছনের মাথার বদৌলতে। (নাউঝুবিল্লাহ!!!)
আমোদ-ফুর্তিতেও মেতে উঠতো, কারণ ওদের বিশ্বাস ছিল গত বছর যত ভালো উপলক্ষ্য যখনই রাত ১২টা বাজতো, রোমানরা জানুসের সামনের মাথার দিকে চলে যেত। কারণ তাদের বিশ্বাস ছিল আগামী বছর যদি ভালো কিছু পেতে হয়, তাহলে জানুসের সামনের মাথাকে খুশি করতে হবে। এই জন্যই রোমানরা আবার প্রার্থনা করতো। ৩১শে ডিসেম্বর সেই উৎসব-উদযাপন, পূজা- প্রার্থনা সবই ছিল জানুস দেবতা কেন্দ্রিক। সময়ের বিবর্তনে আজ যা হয়ে উঠেছে বিশ্বব্যাপী‘’থার্টি ফাস্ট নাইট।
জানুস দেবতার কাহিনী টেনে লম্বা না করে এইবার আসি মূলকথায়। সৃষ্টির শুরু থেকেই শয়তান মানব জাতিকে বিপথগামী করেই চলছে। শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে আমরা অনেক ধরণের অন্যায়-অপরাধ করে ফেলি। শয়তানের প্রধান ইচ্ছাই সে প্রত্যেক মানব সন্তানকে আল্লাহ্র সাথে শিরক করিয়ে কবরে পাঠাবে। যাতে মানুষ অনন্তকাল জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে থাকে। শয়তান ইহুদীদের যেভাবে শিরক করিয়েছিল সেইভাবে আমাদের শিরক করাতে পারবে না। খ্রিস্টানদের যেভাবে ধোঁকা দিয়ে শিরক করিয়েছিল ওইভাবেও আমাদের শিরক করাতে পারবে না। তাই শয়তান আমাদের আল্লাহ্র সাথে শিরক করানোর জন্য অনেক ভিন্ন ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছে। তার মধ্যে একটি পন্থা হলো এই জানুসদেবতা।
একটি জিনিস ভেবে দেখেন তো, শয়তান যদি আমাদের বলতো, তোমরা জানুস দেবতার পূজা করো। ‘’আমরা কি করতাম??... অবশ্যই না!!! কিন্তু শয়তান জানুস দেবতার পূজাকে আমাদের সামনে এমনভাবে উপস্থাপন করেছে, যে আমরা আজ জানুসের পূজা করছি এবং আমরা বুঝতেও পারছি না। এবং আমরা আল্লাহ্র সাথে শিরক করে অনন্তকালের জন্য জাহান্নামের আগুন কিনে নিচ্ছি।
আল্লাহ্ আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুক, এবং শিরক থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করুক, আমীন ||
#দাওয়াতের_নিয়তে_সর্বচ্চো_শেয়ার_চাই... ০১/০১/২০১৮ মিমেস মাইমুনা আক্তার কাছ থেকে কপি করা হয়েছে।
------------------------♦---------------------
দেবতা জানুস (Janus) এর নাম শুনেছেন? যদি না শুনে থাকেন, তাহলে ইতিহাস সম্পর্কে জানুন!!!
দুই মাথা ওয়ালা জানুস ছিল রোমানদের নিকট ভাগ্য দেবতা। রোমানরা মনে করতো জানুস দেবতাই তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ করে। এই কারনে রোমানরা জানুসকে পূজা করতো। জানুয়ারি মাসের নামকরণও করা হয় জানুস দেবতার নামানুসারে। যেহেতু রোমানরা জানুসকে ভাগ্য দেবতা মানতো তাই ওরা ৩১শে ডিসেম্বর রাতে জানুসের পিছনের মাথার সামনে গিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং পূজা করতো। রোমানরা ওই রাত পেয়েছে তা সবই জানুসের পিছনের মাথার বদৌলতে। (নাউঝুবিল্লাহ!!!)
আমোদ-ফুর্তিতেও মেতে উঠতো, কারণ ওদের বিশ্বাস ছিল গত বছর যত ভালো উপলক্ষ্য যখনই রাত ১২টা বাজতো, রোমানরা জানুসের সামনের মাথার দিকে চলে যেত। কারণ তাদের বিশ্বাস ছিল আগামী বছর যদি ভালো কিছু পেতে হয়, তাহলে জানুসের সামনের মাথাকে খুশি করতে হবে। এই জন্যই রোমানরা আবার প্রার্থনা করতো। ৩১শে ডিসেম্বর সেই উৎসব-উদযাপন, পূজা- প্রার্থনা সবই ছিল জানুস দেবতা কেন্দ্রিক। সময়ের বিবর্তনে আজ যা হয়ে উঠেছে বিশ্বব্যাপী‘’থার্টি ফাস্ট নাইট।
জানুস দেবতার কাহিনী টেনে লম্বা না করে এইবার আসি মূলকথায়। সৃষ্টির শুরু থেকেই শয়তান মানব জাতিকে বিপথগামী করেই চলছে। শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে আমরা অনেক ধরণের অন্যায়-অপরাধ করে ফেলি। শয়তানের প্রধান ইচ্ছাই সে প্রত্যেক মানব সন্তানকে আল্লাহ্র সাথে শিরক করিয়ে কবরে পাঠাবে। যাতে মানুষ অনন্তকাল জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে থাকে। শয়তান ইহুদীদের যেভাবে শিরক করিয়েছিল সেইভাবে আমাদের শিরক করাতে পারবে না। খ্রিস্টানদের যেভাবে ধোঁকা দিয়ে শিরক করিয়েছিল ওইভাবেও আমাদের শিরক করাতে পারবে না। তাই শয়তান আমাদের আল্লাহ্র সাথে শিরক করানোর জন্য অনেক ভিন্ন ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছে। তার মধ্যে একটি পন্থা হলো এই জানুসদেবতা।
একটি জিনিস ভেবে দেখেন তো, শয়তান যদি আমাদের বলতো, তোমরা জানুস দেবতার পূজা করো। ‘’আমরা কি করতাম??... অবশ্যই না!!! কিন্তু শয়তান জানুস দেবতার পূজাকে আমাদের সামনে এমনভাবে উপস্থাপন করেছে, যে আমরা আজ জানুসের পূজা করছি এবং আমরা বুঝতেও পারছি না। এবং আমরা আল্লাহ্র সাথে শিরক করে অনন্তকালের জন্য জাহান্নামের আগুন কিনে নিচ্ছি।
আল্লাহ্ আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুক, এবং শিরক থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করুক, আমীন ||
#দাওয়াতের_নিয়তে_সর্বচ্চো_শেয়ার_চাই... ০১/০১/২০১৮ মিমেস মাইমুনা আক্তার কাছ থেকে কপি করা হয়েছে।
No comments