Header Ads

৩০ সেকেন্ডেই হ্যাক হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্ট, আপনার তথ্যগুলো নিরাপদ তো?

৩০ সেকেন্ডেই হ্যাক হচ্ছে হোয়াটস এপ একাউন্ট, আপনার তথ্যগুলো নিরাপদ তো?

হোয়াটস এপ হ্যাক, হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক
নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়তে চাইছে না হোয়াটসঅ্যাপ-এর! কয়েক দিন আগেই জানা গিয়েছে, E2E বা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনেও হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন মোটেও সুরক্ষিত নয়। যতই কথোপকথন E2E এনক্রিপটেড হোক না কেন, যাদের মধ্যে তা চলছে, সেই দু’জন ছাড়া তৃতীয় কোন ব্যক্তি চাইলেই কথোপকথন ডি-কোড করতে পারেন। তাছাড়া, হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন মুছেও দেওয়া যায় না। মুছলেও তা থেকেই যায়!

এই বিপজ্জনক তথ্য জানাজানি হওয়ার পরেই উঠে এল আরও এক বিস্ফোরক খবর। জানাল সংযুক্ত আরব আমির শাহির এমিরেটস সেফার ইন্টারনেট সোসাইটি; সংক্ষেপে ই-সেফ নামের এক নন-প্রফিট অনলাইন সেফটি সংস্থা।
হোয়াটস এপ হ্যাক

সম্প্রতি এক সাংবাদ সম্মেলনে ই-সেফ দাবি করেছে, চাইলেই হ্যাক করা যায় হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট! কোন ব্যক্তি মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই এই দুষ্কর্মটি করতে পারেন! কী ভাবে, হাতে-কলমে তা সবাইকে দেখিয়েও দিয়েছে ই-সেফ।

ই-সেফ জানাচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকের চাবিকাঠি হল ফোনের QR কোড। একবার যদি কেউ আপনার ফোনের QR কোড পেয়ে যায়, তাহলে সেই কোড ব্যবহার করে ভায়া ডেস্কটপ হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করাটা শুধুই ছেলেখেলা! তার পরে সেই হ্যাকার যা খুশি করতে পারে অন্য ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিয়ে।

ই-সেফ আরও জানিয়েছে, তাদের সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, বেশির ভাগ মানুষই নাকি ডেস্কটপ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের পর লগ-আউট না করেই চলে যান! সে সব ক্ষেত্রে হ্যাকারদের কাজ আরও সহজ হয়ে যায়।
এছাড়া ই-সেফ জানাচ্ছে, তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী ১০০ জনের মধ্যে ৭৮ জন মানুষই তাদের ফোন অন্যের হাতে তুলে দেন! সেই ব্যাপারটা QR কোড জানার কাজটা অনেক সহজ করে দেয়। এ থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে কিছু পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশী ওয়েব নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান "এরিনা ওয়েব সিকিউরিটি" 
# আপনার মোবাইলে অবশ্যই কোড লক চালু করবেন। প্যাটার্ন লক হ্যাক করেও তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে অসাধুরা। বিস্তারিত - Click Here
# আনলক অবস্থায় ডিভাইসকে কোথাও ফেলে রেখে যাবেন না। ডিভাইসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
# ফোনের সেটিং অপশনে গিয়ে থার্ড পার্টি এপস এর অনুমোদন বন্ধ করে দিন। এর ফলে আপনার ডিভাইসে কি লগার সহ অন্য সকল ম্যালওয়ার এর মাধ্যমে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। 
system settings. .. "Device" ==> "Apps" option ==> Enable / Disable third party apps ==> "Disable" ]
# মোবাইলকে আপডেট অবস্থায় রাখুন। পুরনো ভার্শনের দূর্বলতা সমাধান করেই আপডেট বের হয়, তাই আপনার ডিভাইসকে নিরাপত্তা দূর্বল অবস্থায় ফেলে রাখবেন না।
# কি ডাউনলোড করছেন তা আগে থেকে অবশ্যই যাচাই করে নিবেন। চমকপ্রদ কোন কিছু আসলেই বিস্তারিত না জেনে ডাউনলোড করবেন না।
# এপস ইন্সটল এর সময় কি কি অনুমতি নিচ্ছে তা যাচাই করে নিন। যেমন কোন কারন ছাড়াই একটি গেম আপনার ক্যামেরার অনুমতি নিতে চাইলে তা যাচাই না করে অনুমোদন দিয়ে দিলে আপনার অজান্তেই আপনার ওয়েব ক্যামেরাকে  ব্ল্যাকমেইলের জন্য ব্যাবহার করতে পারে অসাধুরা।
# ফোনে কি কি এপস ইন্সটল করা আছে তা যাচাই করবেন। আপনার অজান্তেই কোন এপস ডাউনলোড হয়ে হাতিয়ে নিতে পারে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবলী।
# ফ্রি ওয়াই-ফাই ব্যাবহারে সতর্ক হোন। কারন, ফ্রি ওয়াইফাই এর মাধ্যমে আপনার অসংখ্য তথ্যবলী হাতিয়ে নিতে পারবে অসাধুরা।
# কোন মেসেজ কোড আসলে কাউকে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। তাহলে আপনার অজান্তেই আপনার সকল আইডির অনুমোদন পেয়ে যাবে অসাধু হ্যাকাররা।
# হোয়াটস এপ , ফেসবুক, ব্রাউজার সহ গুরুত্বপূর্ণ এপস গুলোর ক্ষেত্রে অবশ্যই এপসলক এর মাধ্যমে আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করুন। Smart App Protector সহ এরকম জনপ্রিয় কিছু এপস লকারের মাধ্যমে আপনি আপনার এপস গুলো সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

2 comments:

Powered by Blogger.